13 March 2013

অনুখিস্তি, অণুকিস্তি

সুস্নাত চৌধুরী


‘শালা’, ‘বাঞ্চো...’ উচ্চারণে ঝাল নেই তবু বলে যাও নুন-তেল-লঙ্কার ঝাঁঝ আর মেলে না টাগরায়, আমি ভাবি ব্যক্তিগত জীবনের ডায়েরি থেকে উঠে আসা মুখখারাপের কথা, আর ধনে-প্রাণে বানিয়ে ফেলি কথার কথা, ডায়ালেক্ট... বোতলে মিশিয়ে নিই ভদকা, নাম দিই ‘ম্যানকাইন্ড’, ব্রোনোউস্কি উঠে আসেন উচ্চমাধ্যমিক থেকে, পেটার বিকসেলসম নামকরণের মাহাত্ম্যে পুলিশের সামনে গলায় ফুয়েল ঢেলে বলে উঠি এই হল পৃথিবীর ‘টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড’... ‘বড়োভাই’ বলে ডাকি বাবাকে... নুঙ্কুকে বলি ‘ছোটোখোকা’... আর সোনাগাছির কাছে ট্যাক্সি দাঁড়ালে ডাকি ‘স্বজন’, ‘স্বজন’... কেননা ঠাকুরদা তারপর বাবা ক্যান্সার হয়ে মরে গেল, কাল বাদে পরশু আমারও হবে তাই মোড়ের দোকান থেকে ‘খেমোথেরাপি’ করাই... একখিলি খেমো পান একশো বিশ... স্লো-পয়সন... মৃত্যুর তাড়া নেই আমার... আবার তোমার সঙ্গে দেখা হলে ‘হ্যালো’ নয়, চেঁচিয়ে উঠব সাইকেল থেকে হাত নেড়ে ‘ওয় বাপি’ কি ‘ওয় বাবলু’... আমার লেক্সিকানে যার মানে --- ‘বন্ধু কী খবর বল, কতদিন দ্যাখা হয়নি’।